ঢাকার তেঁজগাও এর মনিপুরীপাড়া এলাকায় একটি পুরানো খ্রিষ্টান বাড়ি রয়েছেন এই বাড়িটিতে ভাড়াথাকা প্রায় সব ভাড়াটিয়াই ভুতুড়ে ও অদ্ভুত অনেক কান্ড দেখতে পান। অনেকসময় গভীর রাতে বাড়িটির নিচে দোলনায় কাউকে দুলতে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও গভীর রাতে বাড়ির ছাদে কাউকে হৈচৈ করতে দেখা যায় অনেক সময় । কিন্তু যখন ছাদে তখন কাউকে দেখা যায় না। শোনাযায় ঐ বাড়িটির বাড়িয়ালার মেয়ে প্রায় ১৬ বছর আগে গলায় ফাঁশ দিয়ে মারা গিয়েছিলেন । মেয়েটি মানুষিক ভাবে অসুস্থ ছিল তখন। এই আত্বহত্যার পর থেকেই নাকি ঐ সব ভুতুরে কান্ড দেখতে পাওয়া যায় প্রায় সময়।
পুরান ঢাকার মিষ্টির দোকানে কিছু লোক প্রায় সময়ই রাত ৯ টার দিকে এসে ১০ থেকে ১২ রকমের মিষ্টি কিনে নিয়ে যায় সবসময় ।তারা যেই দোকনে ঢুকে সেই দোকানের মালিককে লাইট নিভিয়ে দিতে বলে থাকে। অন্ধকারে তারা আসে আবার অন্ধকারেই তারা চলে যায়। এই লোকগুলো আকারে অনেক লম্বা এবং তাদের চেহারাও আজ পর্যন্ত ঠিকমত কেউ দেখেনি বলা হয়। ধারনা করা হয় যে তারা জীন প্রজাতী এবং তারা এই রকম প্রায়ই এসে এসে মিষ্টি নিয়ে যায় । পুরানো ঢাকার স্থানীয় লোকেরাও তাদের এসব কথা জানেন।
ঢাকার এয়ারপোর্ট রোডে গভীর রাতে গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ করে চালক দেখে সামনের রাস্তায় সাদা পোষাক পড়া একটি মেয়েকে সে যেন দৌড়ে আসছে গাড়ির দিকে । ভয়পেয়ে চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললেই ফলে ঘটে দুর্ঘটনা।এই অশ্বরিরী মানুষের স্পর্ষ বা আঘাত করেনা বরং ভয় দেখানোই হল তার উদ্যেশ্য । এরপর মেয়েটি কে আর দেখা যায় না।সে উধাও হয়ে যায়। শোনা যায় অনেক আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারসহ মেয়েটি সেখানে মারা গিয়েছিলেন । এরপর থেকে এই ঘটনা ঘটায় কারন সে যেন প্রতিশোধ নিতে চায় বলে মনে করনেন অনেকে । সে চায় সে যেমন তার পরিবার সহ মারা গিয়েছে অন্য পরিবার বা পরিবারের লোকজনও যেন ঠিক সেই রকম ভাবে ভয়পেয়ে যেন মারা যায়। ভয় পেয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রন না হারালে ঘটবেনা কোন দুর্ঘটনা ও। চলন্ত গাড়িতে চালক একাকী গাড়ি চালালেই নাকি বেশিরভাগ সময় এই রকম ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একানে এই পর্যন্ত অনেক সড়ক দূর্যটনা ও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে, আহত হয়েছে অনেক জন। কেউ কেউ বলেন যে, জসীম উদ্দিন ও বিমান অফিসের মাঝামাঝি সড়কে এই ঘটনা দেখা যায় প্রায় । আবার অনেকে বলে নিকুঞ্জ ও বিমান অফিসের মধ্যবর্তী সড়ক এলাকায় দেখা পাওয়া যায় । তবে দিনের বেলায় এই রকম রহস্যময় কিছু দেখতে পাওয়া যায়নি এখনো ।
লালবাগ কেল্লা অন্যতম আকর্ষনীয় এবং বাংলাদেশে পুরান ঢাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক একটি স্থান যা মুঘল আমলে নির্মিত হয়েছেন । লালবাগ কেল্লাও ভুতরে স্থান হিসাবে বেশ পরিচিত আছে অনেকের কাছে। কেউ কেউ বলে লালবাগ কেল্লায় সুবেদার শাহেস্থাখানের কন্যা পরিবিবির আত্বাকে রাতের বেলায় ঘুরতে দেখা যায় সব সময় ।সেখানের স্থানীয় মসজিদে রাত তিনটার সময় নাকি কিছু লোককে নামাজ পড়তে দেখাযায় অনেক সময়। যদিও ফজর নামাজের আসল সময় ৪:০০ টা থেকে ৫:০০ টা বা তার আশেপাশে হয়। নামাজপড়ার শব্দে সেখানে উপস্থিত হলে দেখা যায় কক্ষটি ফাঁকা। সেখানে রক্ষিরা রাতের বেলায় কেমন যেন ভয় পেয়ে অসস্তি অনুভব করথাকেন। লালবাগ কেল্লার আরো একটি ভুতুড়ে এর তলদেশে একটি সুরঙ্গ আছে। কথিত আছে এর ভিতরে একবার গেলে আর ফেরত আছতে পারেনা ।কেউ বলে সুরঙ্গটি এখান থেকে দিল্লী পর্যন্ত বিস্তৃত আবার অনেকে বলে এটি টঙ্গি নদীতে পর্য্যন্ত ।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কেউ যানে না এর গহীনে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে । বৃটিশ আমলে একটি অনুসন্ধানী দল দুটি কুকুরের গলায় চেইন বেঁধে এই গুহায় পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পরে ফেরত আনার জন্য সেই চেইন ধরে টান দিলে শুধু চেইনই ফেরত আসে কিন্তু কুকুরদুটির আর কোন হদিস পাওয়া যায় নাই। এরপর একটি হাতীকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেই হাতীকের আর ফেরত পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর বৃটিশ সরকারের পক্ষথেকে এই সুরঙ্গপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আজ পর্যন্ত সেই সুরঙ্গ বন্ধই রয়েছে । কি রহস্য লুকিয়ে আছে সেই রহস্য আজও সকলের কাছে অজানাই।
মিরপুর ইন্ডোর স্টেডিয়ামের জায়গায় আগে অনেক বিশাল একটি পুকুর ছিল। সেই পুকুরে প্রায় সময়ই একজন দুইজন করে মানুষ মারা যেত সেখানে ।পরবর্তী সময়ে ষ্টেডিয়াম বানানোর পরে এই সমস্যার সমাধা হয়েছিল । একদিন দুপুরবেলায় ৬ নম্বর সেক্টরে নান্টু নামের একটি ছেলে পানিতে গোসল করতে নেমেছিল । কিন্তু সে আর উঠে আসেনায়। পুকুরপাড়ে তার সেন্ডেল, লুঙ্গি আর গামছা সব পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল । তারপর কত ডুবুরী, কত মানুষ তন্নতন্ন করে নান্টুমিয়াকে খুজে কিন্তু তার আর হদিস পাওয়া যায় এখনো । ২৪ ঘন্টা পর তার লাস ভেসে ওঠে। ষ্টেডিয়াম বানানোর সময়ও নাকি অনেক রহস্যের সন্মুখিত হতে হয়েছিল পুকুরটিকে।
বান্দরবনের রুমা সদর এলাকাথেকে ১৮ থেকে 20 কিলোমিটার দূরে বগালেকের কথা আনেক আগে কেউ শুনে থাকবেন। বগা অর্থ হলো ড্রাগন। শোনা যায় অনেক আগে সেই এলাকায় ড্রাগন ছিল এবং এই ড্রাগন ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলত এখনে । গ্রামের লোকেরা বিরক্ত হয়ে সেই ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন বের হতে থাকে এবং প্রচন্ড শব্দে পাহাড়ে বিস্ফরিত হয় যা দেখে মনে হতে পারে এটা কোন আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত. হয়েছে । উপজেলা পরিষদ সাইনবোর্ডে এই রহস্যের কথা লিখে রয়েছেন । এখানে যে নদী আছে তা এতো গভীর যে তার গভীরতা
এখনো মাপা সমভপ হয়নি ।
No comments:
Post a Comment